হায়দ্রাবাদে হিস্টেরেক্টমি

হিস্টেরেক্টমি অপারেশনে, জরায়ু এবং জরায়ুমুখ উভয়ই অপসারণ করা হয়, যা মাসিক চক্র বন্ধ করে দেয় এবং গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যদি প্রক্রিয়া চলাকালীন ডিম্বাশয়ও অপসারণ করা হয়, তাহলে হরমোনের মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেতে পারে। হরমোনের মাত্রার এই আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে সাধারণ শারীরিক পরিবর্তন হতে পারে যেমন শক্তির মাত্রা হ্রাস, মেজাজের পরিবর্তন এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের পরিবর্তন।

হিস্টেরেক্টমি হল পেটে ছেদন করে জরায়ু এবং জরায়ু অপসারণের একটি অস্ত্রোপচার। যদি খোলা পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা হয় তবে রোগীকে হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থাকতে হয়। রোবোটিক এবং ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে, পুনরুদ্ধারের সময় এবং রুটিনে ফিরে আসতে সময় অনেক কমে যায়।

বড় জরায়ু ফাইব্রয়েড, গুরুতর এন্ডোমেট্রিওসিস, দীর্ঘস্থায়ী পেলভিক ব্যথা, ভারী মাসিক রক্তপাত, বা জরায়ু, জরায়ু, বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য একটি পেটের হিস্টেরেক্টমি পদ্ধতি প্রায়ই প্রয়োজন হয় যখন অন্যান্য চিকিত্সার বিকল্পগুলি অকার্যকর প্রমাণিত হয়।

একটি সুসজ্জিত সুবিধা অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা সঞ্চালিত. যদিও বিরল, কিছু অস্ত্রোপচার পরবর্তী জটিলতা যেমন রক্তপাত, বিলম্বিত নিরাময়, এবং ছেদ স্থানে ধীর পুনরুদ্ধার ঘটতে পারে। যাইহোক, এই সমস্যাগুলি সাধারণত যথাযথ যত্নের সাথে পরিচালনা করা যায়।

ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেক্টমি হল একটি ন্যূনতম আক্রমণাত্মক অস্ত্রোপচার যা পেটের মধ্য দিয়ে জরায়ু এবং জরায়ুমুখ অপসারণের জন্য ছোট ছোট ছেদ এবং একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে। ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেক্টমির সময় পেটে চারটি ছোট ছেদ বা কাটার মাধ্যমে পুরো জরায়ু বা গর্ভাশয় (এবং কখনও কখনও ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং ডিম্বাশয়) অপসারণ করা হয়, যা "কিহোল সার্জারি" নামেও পরিচিত।

হিস্টেরেক্টমির ইঙ্গিতগুলির মধ্যে রয়েছে বৃহৎ জরায়ু ফাইব্রয়েড, গুরুতর এন্ডোমেট্রিওসিস, দীর্ঘস্থায়ী পেলভিক ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জরায়ু প্রোল্যাপস এবং কিছু নির্দিষ্ট স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যান্সার।

হিস্টেরেক্টমির পর আরোগ্যলাভের জন্য ২-৩ দিন হাসপাতালে থাকা এবং বাড়িতে কয়েক সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভের জন্য সাধারণত ৬-৮ সপ্তাহ সময় লাগে, এই সময়কালে রোগীদের ভারী জিনিস তোলা, কঠোর পরিশ্রম এবং যৌন মিলন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।